বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১ জুলাই থেকে সীমান্ত খুলতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য যে ৫৪টি দেশের খসড়া তালিকা করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের নাম নেই।
খসড়া তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ব্রাজিলের নাম নেই। অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় সফল নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ভুটানের পাশাপাশি তালিকায় জায়গা পেয়েছে ভারত ও চীন।
ইউরো নিউজের একটি সূত্র জানায়, কোন কোন দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এ নিয়ে সমাঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি ইইউ কর্মকর্তারা। তবে, মহামারি পরিস্থিতি ভালো এমন দেশগুলোর ব্যাপারে একমত হয়ে ওই তালিকাটি তৈরি করেছেন তারা।
আগামী সপ্তাহ থেকে ওই তালিকায় থাকা দেশের নাগরিকরা ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবেন।
ইউরো নিউজের ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এখনই ইউরোপে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না ব্রাজিল, কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নাগরিকরা। যদি ওই দেশগুলোর মহামারির পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে তাহলে পরবর্তীতে তাদের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
খসড়া তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামা, ভুটান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ডোমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গায়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, জাপান, কাজাখস্তান, কসাভো, লেবানন, মরিশাস, মোনাকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, মোজাম্বিক, মায়ানমার, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিকারাগুয়া, পালাউ, প্যারাগুয়ে, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেন, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভ্যাটিকান সিটি, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়া।
গত বৃহস্পতিবার, ইইউ কমিশনের মুখপাত্র এরিক ম্যামার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোন কোন দেশ থেকে যাত্রী প্রবেশ নিরাপদ হবে তা নির্ধারণের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া আছে, যেটি দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে।’
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ ফের চালুর বিষয়ে গত ১১ জুন ইইউ কমিশন সুপারিশ করে যেন তাদের নাগরিকেরা আগের মতো ভিসামুক্ত যাতায়াত সুবিধা পায়।
১লা জুলাই থেকে অন্য দেশগুলোর জন্যও সীমিত পরিসরে সীমান্ত খোলার কথাও বলা হয় ওই সুপারিশে।
যাতে আরো বলা হয়, সেসব দেশে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের গতিবিধি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সংক্রমণের গতিবিধি অনুসরণ করে আক্রান্তদের খুঁজে বের করা, ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্তদের চিকিৎসা ও প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিবেদনে আসছে কিনা এসবের ওপর ওই দেশের মহামারি পরিস্থিতি কেমন তা বিবেচনা করা হবে।